করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগের উৎপত্তির প্রায় ৫ মাস পার হয়ে গেল। ভাইরাসটি এখনো সংক্রমণ ঘটিয়ে চলেছে সারা বিশ্বে। করোনার প্রতিষেধক তৈরি না হওয়ায়, এ নিয়ে আতঙ্কে আছে বিশ্ববাসী। ভাইরাসটির সংক্রমণ রুখতে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশেও দেওয়া হয়েছে লকডাউন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
করোনার কারণে বলা যায়, সবাই এখন ঘরবন্দী। মহামারির এই সময়ে চিত্রনায়িকা চম্পাও ঘরে অবস্থান করছেন। বাড়ির কাজ, বাগান আর ইবাদত-বন্দেগী করে কাটছে তার সময়।
চম্পা বলেন, ‘লকডাউনের কারণে অনেক দিন থেকে ঘরে অবস্থান করছি। বাসার সব কাজ নিজেই করছি। সবাই জানেন, বাগানের প্রতি আমাদের একটা দূর্বলতা আছে। তাই এই সময়টা নিজেই বাগান দেখাশোনা করছি। ভালোই লাগছে, দিনগুলো সুন্দরভাবেই কেটে যাচ্ছে। ইদানিং লক্ষ্য করছি, বাগানে অনেক ধরনের পাখি আসে। যা আগে কখনও দেখিনি। নাম না জানা কত পাখি সারাক্ষণ আমার বাগানে কিচিরমিচির করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লকাডাউনের কারণে পরিবেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এটা এখন স্পষ্ট বুঝতে পারছি। পৃথিবী নিজেকে রক্ষা করার জন্য ঠিকই কোনো না কোনো উপায় খুঁজে নেয়। কারোনার এই সুযোগে পৃথিবী তার ক্ষতি পূরণ করে নিচ্ছে। প্রতিদিন বেশ কিছু সময় বাগানে থাকা হয়। তখন এই বিষয়গুলো উপলব্ধি করি। আমরাই এই প্রকৃতি নষ্ট করেছি। আমরা বড় নিষ্ঠুর। আমাদের উচিৎ বছরে কিছুদিন এভাবে বন্ধ রেখে পৃথিবীর ভারসম্য রক্ষা করা।’
খুব শিগগিরই করোনার প্রকোপ কমে আসবে- আশা ব্যক্ত করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘রোজার মাস শুরু হচ্ছে, রহমতের মাস। আমার বিশ্বাস, আল্লাহর রহমতে করোনার প্রকোপ কমে যাবে। আল্লাহ ঠিকই আমাদের ওপর রহম করবেন।’
এদিকে, বড় বোন অভিনেত্রী সুচন্দা বর্তমানে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ছেলে অপু রায়হানকে নিয়ে গত ফেব্রয়ারিতে নিউইয়র্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। করোনার কারণে তার আর দেশে ফেরা হয়নি।
চম্পা বলেন, ‘করোনার আগেই বুজি (সুচন্দা) ছেলেকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। এর মধ্যেই তো করোনার প্রকোপ সবখানে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের অনিকও (চিত্রনায়িকা ববিতার ছেলে) কানাডায় আছে। ওদের জন্য খুব চিন্তা হয়। প্রতিদিন কথা হচ্ছে, তারপরও। দোয়া করি, আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক।’